নবীন নিউজ, ডেস্ক ১৮ ডিসেম্বার ২০২৪ ১২:০০ পি.এম
ইসলামি বিশ্বাসের মূল ভিত্তি তওহিদ বা একত্ববাদ। আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয়। তার কোনো অংশীদার নেই। এটি ইসলামের মৌলিক ও অপরিবর্তনীয় সত্য। তবে, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, কার্যকলাপ সরাসরি এই তাওহিদের বিরোধিতা করে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাদের কুফুরি স্পষ্ট করেছেন, তাদের বিশ্বাসের ভ্রান্তি তুলে ধরেছেন। এ প্রবন্ধে কোরআনের আলোকে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কুফুরির কারণ তা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করার গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে।
কোরআন মাজিদে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা, কুফুরির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে। ইহুদিরা উযাইর আ.-কে আল্লাহর পুত্র বলেছে। খ্রিস্টানরা মারইয়াম পুত্র ঈসাকে আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পুত্র বা তার অংশীদার হিসেবে দাবি করেছে। সুরা আত-তাওবাহর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
আর ইহুদিরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে, মাসীহ আল্লাহর পুত্র। এটা তাদের মুখের কথা... তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগীদের এবং মারইয়ামপুত্র মাসীহকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে। অথচ তারা এক ইলাহের ইবাদত করার জন্য আদিষ্ট হয়েছে। (সুরা আত-তাওবাহ: ৩০-৩১)
খ্রিস্টানদের আরেকটি ভ্রান্ত বিশ্বাস হল ‘ত্রিত্ববাদ’ আল্লাহ তিন সত্ত্বার একটি। কোরআনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই তারা কুফুরি করেছে, যারা বলে, নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন। (সুরা আল-মায়েদা: ৭৩)
তাদের এ ধরনের বিশ্বাসের কারণেই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কাফির হিসেবে ঘোষণা করেছেন, দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখে তাদের ওপর লানত করেছেন।
ইসলাম স্পষ্টভাবে তাওহিদের বার্তা প্রচার করে। কুফুরির সঙ্গে আপোশ করতে নিষেধ করে। সুরা আল-কালাম আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
তারা চায়, যদি তুমি আপোষকামী হও, তবে তারাও আপোষকারী হবে। (সুরা আল-কালাম: ৯)
ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কুফুরি স্পষ্ট করার মধ্য দিয়ে মুসলিমদের জন্য দীন ও ইমানের সঠিক দিশা প্রতিষ্ঠা হয়। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ ও তার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা গ্রহণ করাই একজন মুসলিমের দায়িত্ব।
ইসলাম সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কুফুরি স্পষ্ট করেছেন, যা মুসলমানদের জন্য শিক্ষণীয়। তাই তাদেরকে কাফের বলা হবে। এছাড়াও যারাই আল্লাহর সঙ্গে কাউকে বা কোনো বস্তুকে শরিক করবে, তাদেরও কাফির বলা হবে।
তাদের সম্পর্কে আল্লাহ ও রসুলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদ্ধান্ত অস্বীকার করা মানহানির শামিল। অতএব, আমাদের দায়িত্ব হলো তাওহিদের প্রতি অবিচল থেকে কুফুরি ও শিরকের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেয়া। তাদের কুফুরির প্রতি সন্দেহ পোষণ না করে বরং তাদের এ ভুল বিশ্বাস সংশোধনের জন্য আল্লাহর পথে আহ্বান জানানোই মুসলমানদের জন্য প্রকৃত দায়িত্ব।
নবীন নিউজ/জেড
স্বামীর ভালোবাসা ফিরিয়ে আনার কোরআনি আমল
অভাব-অনটন থেকে মুক্তি মিলবে যে দোয়ায়
আল-আজহার মসজিদের ১ হাজার ৮৫ বছর উপলক্ষে ইফতারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
একটি পাখির কারণে আফ্রিকার প্রথম মসজিদের স্থান নির্বাচন করা হয়েছিল!
ধর্ষণকারীকে যে শাস্তি দিতে বলেছে ইসলাম
রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?
ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে যা বললেন আজহারী
রোজার মাস মানেই কি ভালো খাবার খাওয়া?
রমজানে রোগীদের জন্য কিছু মাসয়ালা
অজু-গোসলের সময় গলায় পানি গেলে রোজা ভেঙে যাবে?
মসজিদে হারাম ও নববিতে আজ জুমার নামাজ পড়াবেন যারা
ইফতারে ঝটপট সবজি কাটলেট তৈরি করবেন যেভাবে
আলট্রাসনোগ্রাম করলে রোজা ভেঙে যাবে?
ইফতারের পর ধূমপান করলে যেসব বিপদ ঘটে শরীরে
যেসব কারণে রোজার ক্ষতি হয় না
জাকাতের টাকায় ইফতার সামগ্রী দেওয়া যাবে?
ইফতারের আগে করা যায় যেসব আমল
রোজা আদায় না করলে যে শাস্তি
মানুষের সেবা করার সেরা মাস রমজান
‘আমিই জীবন দেই, আমিই মৃত্যু দেই, আর আমার কাছেই সবাইকে ফিরে আসতে হবে’
রমজানে যে ৭ আমল বেশি করতে হবে
রমজান মাসে ফজিলতপূর্ণ যে ৩ আমল করবেন
ইফতারে আরবদের পাতে শোভা পায় যেসব ঐতিহ্যবাহী খাবার
রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
রমজানে ওমরা করলে আসলেই কি হজের সওয়াব পাওয়া যায়?
সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহ্বান
সাহাবিদের যেভাবে পরীক্ষা নিতেন নবীজি
জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়বেন
হারামাইনে ১০ রাকাত তারাবির সিদ্ধান্তে দেওবন্দ মাদরাসার উদ্বেগ
ইফতারে কোন দেশে কী খাওয়া হয়?