নবীন নিউজ, ডেস্ক ০৫ সেপ্টেম্বার ২০২৪ ১০:৫৯ এ.এম
ব্যাংকঋণের টাকা খেলাপি হওয়া দিন দিন বাড়ছে। কারণ, নথিপত্র ছাড়া নামে-বেনামে ঋণ নেওয়া অব্যাহত আছে। এসব ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে দ্বারস্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো। এই আদালতে বিচারাধীন মামলায় আটকে থাকা টাকার পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন বিভাগের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত মার্চ শেষে দেশের ৬০টি ব্যাংকের অর্থঋণ আদালতে মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৯৩টি। এসব মামলায় আটকে আছে প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। তিন মাস আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৫৮৪টি, এর বিপরীতে জড়িত অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরের তিন মাসে মামলার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৯টি। আর জড়িত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ১০ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।
গতকাল ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। সভায় খেলাপি ঋণের মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তির মাধ্যমে ঋণ আদায় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
মূলত আগের মামলা নিস্পত্তিতে গতি কমে যাওয়া ও নতুন মামলা দায়ের বাড়ায় মামলার স্তুপ কমছে না। সংশ্লিস্টরা জানান, বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে বের করা ঋণ স্বাভাবিক নিয়মে আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। বারবার সুবিধা ও ছাড় দেওয়ার পরও এসব ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না খেলাপিরা। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে এসব ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা হলেও নিস্পত্তি হচ্ছে খুবই কম। ব্যাংকাররা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা কম হওয়া ও বিচারকের অভাব এবং আইনি মতামতের জন্য ব্যাংকের আইনজীবিকে পর্যাপ্ত সময় ও সহায়ক জামানতের পর্যাপ্ত দলিলাদি সরবরাহ করতে না পারায় অর্থঋণ আদালতে মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতাসহ বিভিন্ন কারণে অর্থঋণ আদালতে মামলা নিস্পত্তিতে ধীরগতি দেখা যায়। অনেক সময় বিচারক ছুটিতে থাকেন বা ট্রান্সফার হয়ে যান। এছাড়া অভিজ্ঞ আইনজীবিরও অভাব রয়েছে। আরেকটা সমস্যা হলো-মামলা হলেই তার বিপরীতে রিট করে স্থগিতাদেশ নেন ঋণখেলাপিরা।
প্রতি ত্রৈমাসিকে খেলাপিঋণের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করে নিয়মিত ব্যাংকার্স সভায় উপস্থাপন করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইন বিভাগ। এ বিষয়ে গতকাল উপস্থাপিত প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থঋণ আদালতে মাধ্যমে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ৭ হাজার ৭০৩টি। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় হয়েছে ১ হাজার ১৬৮াটি টাকা। সেখানে ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে মামলা নিস্পত্তি হয়েছিল ৮ হাজার ৩৬৯টি। এর বিপরীতে আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের তিন মাসের তুলনায় চলতি বছরের তিন মাসে মামলা নিস্পত্তি ও আদায়ের পরিমাণ কমে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মামলার সংখ্যা বাড়লেও বছরের ব্যবধানে কমেছে। গত বছরের মার্চে অর্থঋণ আদালতে মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৮২১টি। এর বিপরীতে আটকে ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত এক বছরের ব্যবধানে মামলার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭ হাজার ২২৮টি। তবে মামলার সংখ্যা কমলেও জড়িত অর্থের পরিমাণ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ২৯ হাজার ১২৮ কোটি টাকা।
সম্প্রতি খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোর লিগ্যাল টিম শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনায় লিগ্যাল টিমে কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ এবং তাদের বার্ষিক মূল্যায়ন কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গত মাসে জারি করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, সামগ্রিক ঋণ ব্যবস্থাপনায় আদায় কার্যক্রম সুসংহত করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের আইন বিভাগ বা লিগ্যাল টিমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকিং সেক্টরে বিদ্যমান খেলাপি ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্থ ঋণ আদালতে মামলাধীন। অনেক খেলাপি ঋণের বিপরীতে ঋণগ্রহীতা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বা আপিল বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্যাংকের লিগ্যাল টিমকে আরও শক্তিশালী করা হলে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে। ফলে, একদিকে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের হবে অন্যদিকে ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া আদালতের বাইরেও বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির আওতায় খেলাপিঋণ আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে এডিআর পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে পাওনা আদায়ের নোটিশেই মধ্যস্থতার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তকরণ, দ্রুত পাওনা আদায়ের সম্ভাবনা থাকলে কেইস টু কেইস ভিত্তিতে কিছুটা ছাড় দেওয়াসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নবীন নিউজ/জেড
টাকা খরচ করে এমপি হতে চায় ব্যবসার জন্য: হাসনাত আব্দুল্লাহ
নাম বদলের খেলায় বিপদে দেশ
বিসিবি নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন ইশরাক
পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
মাহিন সরকারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
প্রায় ৪ কোটি টাকার হেরোইন ফেলে চোরাকারবারিদের নদীতে ঝাঁপ
‘নিখোঁজ’ মামুনুর রশিদকে ফেরত চান জামায়াত আমির
এবার মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সেই ছবি প্রকাশ করল ‘এই সময়’
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ দূতাবাস রাবাতে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন
খাওয়া ও বিশ্রামে ব্যস্ত, ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
কিশোরগঞ্জে বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সাজ সাজ রব, ফজলুর রহমানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী?
২০২৫ সালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৬ এর বইমেলা!
সৌদি-পাকিস্তানের চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
জাকসু ও ডাকসু পরাজিত শক্তির ভোটে একটি দল বিজয়ী হয়েছে: রিজভী
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট দাবি করা সেই এনায়েত কারাগারে
মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে : জামায়াত নেতা আযাদ
সরকার কি সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে, নাকি অন্য কোনো ষড়যন্ত্র আছে?
জয়-পুতুল-রাদওয়ানকে নিয়ে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা মডেলে’ আ.লীগের নেতৃত্ব সাজাচ্ছেন হাসিনা
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে দেশজুড়ে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ
উচ্চকক্ষ নিয়ে সরকারের অনুরোধ রাখেনি বিএনপি
পুলিশের নজরে বিশেষ ’সাড়ে ৩ ঘণ্টা’, কি ঘটতে চলেছে ঢাকায় ?
‘নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের ষড়যন্ত্র একার না, শেখ হাসিনারও’
গোপালগঞ্জ দ্বন্দ্বের কারণে ফের আইজিপি করা হয় আমাকে : মামুন
মামুনের খুলি ফ্রিজে, মাথায় লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : তারেক রহমান-বাবরের খালাসের রায় আপিলে বহাল
ভোটারপিছু ১০ টাকা খরচ করতে পারবেন প্রার্থী, ইসির প্রস্তাব
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর ভিন্নমত: নির্বিঘ্ন নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা